বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

দাম্পত্য

আমার পাশাপাশি চলমান তোমার পারফিউম এবং সেলফোন
আমার ছায়াটুকুও এখন নেই
তোমার রিবন্ডিং চুল, আমার উইগ
গোটানো আস্তিনে ভয়াবহ ধুলো
শহুরে গাছেদের অশ্রুর ফোঁটা নাগরিক ধুলোর সঙ্গে
পার্শ্ববর্তী রাজপথে যায়, সহবাস দেখবে বলে...
পিচ-ডানলপ-পাথর-গাঁদাফুল,
তোমার গেট টুগেদার পার্টি, জন্মদিন, প্রাথমিক নাগরিক বিজ্ঞান
বাসন্তী শাড়ী, রিক্সার চাকার চকচকে আঙ্গুল;
তোমার মানবিক বোধ আর জৈবিক পর্যালোচনার ত্রৈমাসিক সম্মেলন,
লোন করে কেনা জাপানী গাড়ি,
তোমার গোসল, ডিওডোরেন্ট, কন্ট্রাসেপটিভ...
আমার জুতোর ফিতে, গলার টাই, নটা-পাঁচটা
তার আশেপাশে চেপেচুপে রাখা
যৌথ এবং ভীষণ ব্যক্তিগত নানাবিধ স্বপ্ন...
বাজারের ফর্দ আর রান্নার রেসিপির মধ্যকার মৌলিক পার্থক্যটুকু;
আমাদের ক্রমবর্ধমান পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক,
বিছানায় ম্যাট্রেস, অন্তঃসারশূন্য আরামদায়ক অনুভূতি,
মাথার ভেতরে কোথাও আন্দোলন,
পৃথিবীর যাবতীয় যুদ্ধবিমানের চাপা আর্তনাদ,
এরপর লোডশেডিং, এরোসল, স্ট্রবেরি কনডম এবং সেলফোন
তারপর দুঃখ ।।

সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

কেন শুধু আকাশ দেখতে চাও

কষ্ট পেলে আকাশ দেখ বুঝি
তোমার নিজস্ব আকাশ,
কেন শুধু আকাশ দেখতে চাও
আরো কত কি দেখার আছে

ওই মেয়েটিকে দেখ
ওর বাবা ছিলনা
তবু জন্মটা কোন রহস্যই নয়
বড়ও হয়ে গেছে হুট করে
উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত দায়
সে বয়ে যাচ্ছে খেটে
দিনের পর দিন
রাতের পর রাত
কেননা খেতে হয় কিছু ভাত
শেষ কবে ঘুরে ঘুরে আকাশ দেখেছে...

তবু ওকে সাজতে হয়
ঠোঁটের উপর রং লাগিয়ে
চুল বাঁধতে হয়
শরীর সাজাতে হয়
দেখাতে হয়...

তুমি শুধু আকাশ দেখতে চাও
নিজস্ব আকাশ,
তোমার মত করে জন্মালে
এতদিনে সেও স্বপ্ন বুনত, নানাবিধ
হয়ত থাকত একটা ভালবাসার মানুষও ...

আজ তুমি জড়িয়ে গেছ, আইনসম্মত
স্বাস্থ্যকর, এবং নিরাপদ শারীরিক সম্পর্কে,
ওর কিন্তু বাসর হয় প্রতিদিন, একাধিকবার
কতিপয় নষ্ট পুরুষ
ওকে কামড়ে কামড়ে খায়...

কষ্ট পাচ্ছ, আগুন বুঝি..
ওরও, বুকের মধ্যে একধরণের আগুন জ্বলে,
আলাদা আগুন, বুঝালেও বুঝবেনা তুমি,

ভীষণ কষ্ট পেলে আকাশে তাকাও,
মেয়েটিও কি তাকাতে চায়
তার নিজস্ব আকাশে ...